স্পিরুলিনা তে উপস্থিত ক্লোরোফিল আমাদের দেহে হোয়াইট-ব্লাড-সেল উৎপন্ন এবং সংরক্ষন করে আমাদের দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান, ভিটামিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনকারী উপাদান রয়েছে যা প্যাংক্রিয়াসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিস স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উভয়ই হৃদরোগের সাথে যুক্ত। ২০১৮ সালের পর্যালোচনায় দেখা যায় যে স্পিরুলিনা হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এটি রক্তচাপ, গ্লুকোজের মাত্রা এবং লিপিড স্তরের উপর প্রভাবের কারণে হতে পারে।
প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। যা আমাদের দেহে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ LDL এর লেভেল কমিয়ে এবং ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ HDL এর লেভেল বৃদ্ধি করে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করে আমাদের হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে।
স্পিরুলিনায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের একটি প্রধান কারণ। ভিটামিন B6 এবং B12 মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। এবং ভুলে যাওয়া রোগ প্রতিহত করে
কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি, স্পিরুলিনা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। ২০১৬ সালের একটি ছোট আকারের গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩ মাস ধরে নিয়মিত স্পিরুলিনা গ্রহণ করা অতিরিক্ত ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের রক্তচাপ হ্রাস করে।
খাবার আগে স্পিরুলিনা সেবনে পেটের গ্যাস, পেটে ব্যথা বুকে ব্যথা পিঠে ব্যথা, টক ঢেকুর, বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, বদহজম, এর সমাধান মিলে , এবং গবেষনায় এটি প্রমানিত
এর ভিটামিন, মিনারেল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমুহ দেহের ইমিউনিটি অফ স্টিমুলেন্ট বাড়িয়ে তোলে, এর মধ্যে থাকা প্রচুর প্রটিন ও ফাইবার গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।
স্পিরুলিনাতে রয়েছে মাল্টি ভিটামিন B12 , ভিটামিন B2 (রিবোফ্লেভিন) ও জিংক। যা শরিরের কোষের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। যাদের নিয়মিত মুখে ঘা হয় কয়েকদিন ব্যাবধানে তাদের জন্য এটি অন্যন্ত কার্যকরী